US Embassy interview

আপনি আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন আর এসিস্ট্যান্টশিপ পেয়ে গেছেন। এরপর ভিসা প্রসেসিং এর সকল কাজকর্ম শেষ করেছেন। এখন এসে দাঁড়িয়েছেন ইউএস এম্ব্যাসিতে, ভিসা ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য। খুবই বিশাল(!) একটা সাক্ষাৎকার হয় এখানে – প্রায় দুই মিনিটের মত!

খুবই সাধারণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন ভিসা অফিসাররা। যেমন-

  • কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করলেন?
  • ডিগ্রী নেবার পরে আপনার পরিকল্পনা কী?
  • কেন USA-কেই বেছে নিলেন?

আপনাকে হয়তো এর আগে এপ্লিকেশনের অংশ হিসেবে ভার্সিটিতে স্যারদের সাথে ফোনে বা স্কাইপে ইন্টারভিউ দিতে হয়েছিলো। ওখানকার কিছু কিছু প্রশ্ন এম্ব্যাসিতেও জিজ্ঞেস করতে পারে। সেই প্রশ্নগুলো আর সম্ভাব্য উত্তরগুলো নিয়ে আমাদের একটা পোস্ট আছে। সেটা দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন, Interview questions.

সাক্ষাৎকারের সময় একদম রিল্যাক্স থাকবেন। খুব সাবলীলভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন। শেষ হলে ভিসা অফিসার হয়তো তখনই বলে দেবে যে, “আপনার ভিসা এপ্রুভ করা হয়েছে, অমুক সময়ে এসে ভিসা লাগানো পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন।” অথবা একটা পিন নাম্বার দেবে, যেটা ব্যবহার করে আপনি আপনার ভিসা স্ট্যাটাস জানতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে – Visa Status

923

US EMBASSY DHAKA Address:
Shahzadpur, Dhaka, Bangladesh.
Phone:+8802-8855500.
Hours: Sunday – Thursday, 8:00 am–4:30 pm.
Transit: Natun Bazaar Bus Stand

*** যেসব কাগজপত্র আপনাকে এম্ব্যাসিতে নিয়ে যেতে হবে-

  • আপনার পাসপোর্ট
  • I-20
  • এডমিশন লেটার
  • সেভিস ফি এর রিসিপ্ট
  • সাইমন সেন্টার থেকে পাওয়া সাক্ষাতকারের ফি এর রিসিপ্ট
  • অনার্স এবং মাস্টার্সের (যদি থাকে) সার্টিফিকেট
  • অনার্স এবং মাস্টার্সের (যদি থাকে) ট্রান্সক্রিপ্ট
  • TOEFL স্কোরকার্ড
  • GRE স্কোরকার্ড
  • ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্ট
  • Employee certificate (যদি থাকে)
  • SSC & HSC documents (দেখতে চায় না কখনো, কিন্তু সাথে রাখা ভালো)

কোনো ভুলভাল দলিল নেবেন না। ভুয়া ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্ট (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) দেয়ার কারণে অনেকের ভিসা এপ্লিকেশন বাতিল হবার খবর আছে। ওপরের লিস্টের অনেক জিনিসের ব্যাপারে ডিটেইলসে আলোচনা করেছিলাম আমাদের Visa Application পোস্টে।

*** অবশ্যই যা যা সাথে নিবেন না-

  • মোবাইল
  • লাইটার
  • পকেট নাইফ
  • টাইম বম্ব

ইন্টারভিউয়ের পর

Plane ticket – ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে প্রথম যেই কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে বিমানের টিকেট বুকিং। মনে রাখবেন, বুকিং-এ যত দেরি হবে, টিকেটের দাম তত বাড়বে।

Shopping – টিকেট বুকিং হয়ে যাবার পর আপনাকে শপিং করতে হবে। এই লিঙ্কে বিস্তারিত শপিং এর তালিকা দেয়া আছে, Ultimate Shopping List

মন্তব্য

3 comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।