যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য যা যা লাগবে (এক নজরে)

আমেরিকাতে পড়তে যাবেন, কি কি লাগবে, তার একটা overall checklist. যখন সবগুলোতে টিক দেয়া হয়ে যাবে, তার মানে আপনার এপ্লাই করার কাজ শেষ……

04. NexTop

01) Academic Transcripts (Direct/Evaluated) – অনার্সের ট্রান্সক্রিপ্ট লাগবে। অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি মিনিমাম সিজিপিএ হিসেবে ৩.০০ চায়। কিন্তু এর চেয়ে উন্নত গ্রেড থাকা অবশ্যই ভালো। সিজিপিএ ভালো না হলে অন্যদিকে (নিচের গুলোতে) নিজের যোগ্যতা বাড়াতে হবে। এটা ভালো কোন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো ভালো। যারা Health science ব্যাকগ্রাউন্ডের (যেমন, Pharmacy, Genetic Engineering etc.), তাদের অনেকেরই US system এ evaluated trancript লাগে। WES এমন একটি সংস্থা যারা এ ধরনের evaluation এর কাজ করে থাকে। WES নিয়ে বিস্তারিত বলা আছে এই লিংকে, WES Transcript Evaluation

02) Passport – পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশে যাওয়া যায় না, এ তো জানা কথা। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকলে GRE, TOEFL এই পরীক্ষাগুলোও দেয়া যাবেনা। আবেদন করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। GRE, TOEFL preparation নেয়া শুরু করার সাথে সাথেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলুন। Online এ পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন এই লিংক থেকে – Online Passport Application.

03) GRE/GMAT Scores – অনার্সে ভর্তি হতে হলে যেমন এইচ এস সি দিতে হয়, আমেরিকাতে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য তেমনি এই পরীক্ষাটা দিতে হয়। শুধু বাংলাদেশী না, আমেরিকানদেরকেও এটা দিয়েই মাস্টার্স-পিএইচডি তে ঢুকতে হয়। বিজনেস স্কুলে ঢুকতে হলে GMAT, আর অন্য সকল জায়গায় GRE লাগে। আগের সিস্টেমের GRE তে মিনিমাম ১১৫০, নতুন রিভাইজড GRE তে ৩০০ এর ওপরে পাওয়া দরকার। যত বেশি পাওয়া যায়, ততই সুবিধা। GRE নিয়ে বিস্তারিত দেখুন এখানে, All about GRE. GMAT নিয়ে বিস্তারিত এখানে, All about GMAT

04) TOEFL (Test Of English as a Foreign Language) Scores – ইংরেজি ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রমাণের জন্য এই পরীক্ষাটা দেয়া লাগে। অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি মিনিমাম ৮০ (১২০ এর মধ্যে) চায়। তবে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা (ফান্ডিং) আদায় করতে হলে ৯০ এর ওপরে পাওয়া উচিৎ।

আরো কিছু জানতে চাইলে এখানে দেখুন, All about TOEFL. যারা TOEFL এর পরিবর্তে IELTS দিতে চান, তারা দেখুন এখানে, All About IELTS

05) Search universities and Contact with Professors – GRE/GMAT এবং TOEFL/IELTS এর প্রস্তুতির সময় থেকেই ইউনিভার্সিটি খোঁজা উচিৎ এবং ভবিষ্যৎ সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। চারটা ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি GRE (পরীক্ষার দিনে), TOEFL (পরীক্ষার আগের দিনে) স্কোর পাঠানো যায়। সেই ইউনিভার্সিটিগুলো পরীক্ষার আগেই সিলেক্ট করতে হবে এবং এই সিলেকশনের পেছনে কিছুটা সময় ইনভেস্ট করা উচিৎ।

এই লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন University Selection Procedure. সম্ভাব্য প্রফেসরকে প্রথম ইমেইলটা কিভাবে করবেন, জেনে নিন এখান থেকে, Sample email to contact professors

6) Statement of Purpose (SOP) – কিভাবে, কখন, কেন এই বিষয়ে আপনার আগ্রহ গড়ে উঠলো; আপনার এই বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা কতটুকু; কেন ঐ ইউনিভার্সিটি আপনার পছন্দ হয়েছে এবং এখানে পড়ার পর আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী – এসব নিয়ে একটা ২ পৃষ্ঠার মত রচনা লিখতে হয়। এই জিনিসটা খুব-খুব-খুবই জরুরী এবং ২/৩ মাস ধরে লেখা-এডিট করা-রিভাইজ করা প্রয়োজন। অনেক সময় এটার ওপর ফান্ডিং হয়ে যায়। ভুলেও কোনদিন নকল করবেন না।

Step by Step গাইডলাইন দেখুন এখানে, All About SOP. আরেকটা স্যাম্পল দেখুন এখানে, Sample SOP

07) Recommendation Letter (LOR) – আপনার স্যার বা রিসার্চ সুপারভাইজার আপনার একটু গুণগান করে দেবে, এই আর কী! এখানে আছে একটা দারুণ উদাহরণ, 4 LOR Samples

08) Résumé – সোজা ভাষায়, বায়োডাটা, আজকাল বিয়ে করতে হইলেও এটা লাগে। আর আমেরিকায় পড়তে যাবেন, এটা ছাড়া? তা কী হয়! সুন্দর করে সাজাবেন। এখানে ফরম্যাট (not sample) দেখুন, Résumé Format

এখানে নিজের ইনফর্মেশন দিয়ে দেন, তাইলেই আপনার Résumé রেডি……

09) Research Proposal – অধিকাংশ সময়েই লাগে না এই জিনিসটা। আপনার রিসার্চের প্রতিপাদ্য বিষয় এবং কি পদ্ধতিতে সেটা carry out করবেন, সেটা নিয়ে একটা রচনা। SOP এর মধ্যেই এর কিছু কিছু জিনিস চলে আসে।

10) Financial Document – জাস্ট একটা ফরম্যালিটি। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বছরের খরচ চালানোর সামর্থ্য আপনার (অথবা আপনার বাবা-মা’র অথবা নিকট-আত্মীয় এমনকি পারিবারিক বন্ধুর ব্যাংক একাউন্টে) আছে কিনা, সেটার একটা ডকুমেন্ট। অনেক ভার্সিটি আছে, যাদেরকে এটা পাঠাতে হয় admission decision এর পরে। Admission decision এর পর ওদের কাছ থেকে এসিস্ট্যান্টশিপের দলিল পেয়ে গেলে এটাও লাগে না।

11) Medical Certificate – আপনার শরীরে (অথবা মনে !!) ভয়াবহ কোন রোগ যে নেই, ভবিষ্যতে না হওয়ার জন্য টীকা দেয়া হয়েছে কিনা, সেটার দলিল। অনেক ক্ষেত্রেই এপ্লাই করার সময় এটা লাগে না, ওরা এডমিশন দিলে তারপর লাগে।

12) Phone Interview – অনেক সময় এপ্লিকেশনের অংশ হিসেবে ওরা আপনার সাথে কথা বলতে চাইতে পারে। কী জাতীয় প্রশ্ন করতে পারে, আর কী উত্তর দিতে পারেন, দেখুন দারুণ মজার এই নোটটাতে, Phone Interview

13) Online Application – ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে ওদের পোর্টালেই একটা অনলাইন এপ্লিকেশন পূরণ করতে হয়। আপনার পূর্ববর্তী পড়াশোনার ইতিহাস, বর্তমান-স্থায়ী ঠিকানা, এগুলি এখানে দিতে হয়। আপনার SOP,  রিকমেন্ডেশন লেটার (LOR) কোন কোন স্যারদের কাছ থেকে নেবেন, সেই স্যারদের কনট্যাক্ট ইনফর্মেশনও অনেক সময় এই অনলাইন একাউন্টেই দিতে হয়। এই একাউন্টেই CV আপলোড করতে হয় সাধারণত।

দুনিয়ার ইনফর্মেশন দিতে হয়। যেমন, শেষ পহেলা বৈশাখের দুপুরে কি দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন, হি হি, just kidding. কিন্তু হ্যাঁ, ৬/৭ পৃষ্ঠা থাকে। তবে জিনিসটা খুবই সোজা এবং সব মিলিয়ে ৩০ মিনিটের বেশি লাগে না। All in all, take good care, but don’t worry. It’s easy !! খুব সহজে এই সংক্রান্ত সকল ডিটেইলস দেখুন এখানে, All about Online Application

শেষ…… এবার ওদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। এডমিশনের সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কি হবে, তা এইখানে, The Ultimate Check-list of Student Visa Processing for USA

মন্তব্য

38 comments

ফরহাদ হোসেন মাসুম শীর্ষক প্রকাশনায় মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।