লেটার অফ রেকোমেন্ডেশন নিয়ে কিছু কথা

শিক্ষকদের কাছ থেকে রেকোমেন্ডেশন নিতে গিয়ে আমাকে পড়তে হয়েছে হাজারো ঝামেলায়। সেগুলো এখানে শেয়ার করছি যেন ভবিষ্যৎ আবেদনকারীরা সচেতন থাকতে পারেন।

অনেকে খুব সহজেই শিক্ষকদের কাছ থেকে রেকোমেন্ডেশন পায়, আবার অনেকে আছে আমার মতো চরম দুর্ভাগা যারা দশ মাস আগে থেকে অনুরোধ করলেও শিক্ষকরা সঠিক সময়ে রেকোমেন্ডেশন দিতে গড়িমসি করেন। এমন না যে, শিক্ষকদের সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ বা খারাপ সম্পর্ক ছিল যাদের সাথে, তাঁদেরকেই আমি অনুরোধ করেছি রেকোমেন্ডেশনের জন্য। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্য যে, ভালো সম্পর্ক আছে যাঁদের সাথে, তাঁরাও পর্যন্ত অবহেলা করেন বিশটা মিনিট সময় ব্যয় করতে।

একটা কারণ হতে পারে, ইলেক্ট্রনিক রেকোমেন্ডেশন। এটার সাথে অনেক শিক্ষকই পরিচিত নন। তাই এটা তাঁদের কাছে বিভীষিকা মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই! বেশীরভাগ ভার্সিটিই পেপার রেকোমেন্ডেশন গ্রহণ করা বন্ধ করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে সময় এবং টাকা বাঁচবে ইলেক্ট্রনিক রেকোমেন্ডেশন দিলেই।

আমি আমার রেকোমেন্ডারদের খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম পুরো প্রক্রিয়া। কিন্তু কাজ করার সময় অনেকেই লগইন, পাসওয়ার্ড প্রদান প্রভৃতি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। পড়ার পর মেজাজ খারাপ করে কাজে ক্ষান্ত দিয়েছেন। এরপর কয়েকদিন আর ধরেনই নাই। ফলে মূল্যবান কিছু সময় নষ্ট হল।

আবার অনেকে এক বসায় কাজ শেষ করেন না। পরে দেখা যায় পাসওয়ার্ড বা লগইন আইডি ভুলে গেছেন। এর ফলে অর্ধেক পূরণ করা রেকোমেন্ডেশনে আর ঢুকতে পারেন না। তখনও মেজাজ খারাপ করে কাজটা রেখে দেন। কিছুদিন পর হয়তো আবার ধরেন। এতেও সময় নষ্ট হয়।

এমনিতেই ইলেক্ট্রনিক রেকোমেন্ডেশন ব্যাপারটা নতুন। তার উপর যদি এরকম ফ্যাঁকড়া বাঁধে, তাহলে শিক্ষকরা বিরক্ত হতেই পারেন। আমি তাঁদের বাসায়ও পর্যন্ত যেতে চেয়েছি সাহায্য করার জন্য। কিন্তু কেউ কেউ রাজী হন নি। এদিকে আমার ডেডলাইন চলে আসছে।

প্রতিদিন ফোন করে শিক্ষকদের তাগাদা দেওয়া যে কী পরিমাণ অস্বস্তির, এটা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। শিক্ষকরা এমনিতেই ব্যস্ত মানুষ। আমাদের জন্য আধা ঘণ্টা সময় বের করা উনাদের জন্য বেশ কঠিন। কিন্তু আমাদেরও তো হাত পা বাঁধা!

অনেক ভেবে কিছু সমাধান বের করেছি –

১। যতগুলো ভার্সিটিতে এপ্লাই করতে চান, সবগুলোর জন্য একই সময়ে রেকোমেন্ডেশন নিয়ে ফেলুন। এপ্লিকেশন কবে সাবমিট করবেন, সেটা আপনার ব্যাপার। একেকটা ভার্সিটির জন্য একেক সময়ে শিক্ষকদের কাছে যাবেন না।

২। উনাদের বলে রাখুন এক বসায়ই যেন ফর্মটা ফিলাপ করে ফেলেন। ডিউ রেখে দিলে পরে লগইনে সমস্যা হতে পারে।

৩। বলে রাখুন যে, আপনার বিষয়ে কিছু লিখে সেটাকে পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফাইল হিসেবে আপলোড করতে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফর্মের ভেতরেই স্পেস থাকতে পারে রেকোমেন্ডেশন লেখার জন্য।

হ্যাপি রেকোমেন্ডেশন কালেকশন!

মন্তব্য

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।