আমেরিকার ভার্সিটিতে IELTS স্কোর পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা

যারা আমেরিকায় পড়তে যেতে ইচ্ছুক তারা হয়তো জানেন যে, ইংরেজি ভাষায় আপনার দখল কতোটুকু সেটা পরিমপের জন্য IELTS/TOEFL পরীক্ষা দিতে হয়। তারপর সেই পরীক্ষার রেজাল্ট/স্কোর পাঠাতে হয় কাংখিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

অনেক ভার্সিটি অনলাইন এপ্লিকেশন পূরণ করার সময় আনঅফিসিয়াল IELTS স্কোর আপলোড করতে বলে। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকা অফিসিয়াল রেজাল্টটি স্ক্যান করে আপলোড করে দিলেই হবে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় ভার্সিটিগুলো অফিসিয়াল স্কোর পাঠাতে বলে। সেজন্য IELTS স্কোর পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে এখানে কিছু বলবো।

পরীক্ষার ১৫ দিন পর ব্রিটিশ কাউন্সিল (বিসি) থেকে আপনি যে রেজাল্ট কার্ডটি সংগ্রহ করবেন, সেটা কিন্তু ভার্সিটিতে পাঠানোর জন্য অফিসিয়াল স্কোর নয়। ওটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ। যত্ন করে রেখে দিন, পাক্কা দুই বছর মেয়াদ! তবে বিসি থেকেই আপনাকে অফিসিয়াল স্কোর পাঠাতে হবে। কীভাবে?

১। ইলেক্ট্রনিক্যালি (বিনামূল্যে)
২। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে (DHL/Normal Postal service)

ইলেক্ট্রনিক্যালি

বিসির সাথে আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি আছে। সেসব ভার্সিটিতে ইলেক্ট্রনিকভাবে স্কোর পাঠানো যায় এবং সেটাকে ভার্সিটি অফিসিয়াল স্কোর হিসেবে গণ্য করে। তাই স্কোর পাঠাতে গেলে আপনার প্রথম কাজই হবে, আপনার কাংখিত ভার্সিটির সাথে বিসির চুক্তি আছে কিনা সেটা বের করা।

কাজটি কীভাবে করবেন? বিসিতে গিয়ে হেল্পডেস্কে থাকা কাউকে বলবেন যে, আমেরিকার অমুক ভার্সিটিতে ইলেক্ট্রনিকভাবে স্কোর পাঠাতে চাই। তাহলেই তারা আপনাকে প্রক্রিয়াটা বুঝিয়ে দেবেন।

ইলেকট্রনিক্যালি পাঠানোর পর বিসি আপনাকে মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করবে। তখন আপনি ভার্সিটিতে খোঁজ নিয়ে দেখবেন যে, ওরা পেয়েছে কিনা। অতি অবশ্যই খোঁজ নিবেন, কারণ গত বছর এক ভাইয়া ইলেকট্রনিক্যালি পাঠানোর পর খোঁজ নিয়ে দেখেছিলেন যে, উনার পাঠানো কোন স্কোরই উনার অ্যাপ্লাই করা কোনো ভার্সিটি পায়নি।

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে

যদি বিসির লিস্টে আপনার ভার্সিটির নাম না থাকে, তাহলে আর্থিকভাবে একটু নাজেহাল হতে হবে। এক্ষেত্রে মোট দুটো উপায় আছে স্কোর পাঠানোর জন্য –

ক) DHL: এটা বিসির অনুমোদিত কুরিয়ার সার্ভিস। আপনি চাইলেই TNT, FEDEX দিয়ে পাঠানোর ব্যাপারে ওদেরকে অনুরোধ করতে পারবেন না। আর DHL দিয়ে প্রতিটা স্কোর পাঠাতে খরচ পড়বে ৩০০০ টাকা। পৌঁছাবে ৫ দিনের ভেতর, ট্র্যাক করার সিস্টেম আছে। যিনি পার্সেল রিসিভ করবেন, তার করা ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার ভার্সিটি স্কোর রিসিভ করেছে। অর্থাৎ নির্ভরযোগ্য একটা সেবা।

খ) Normal Postal service: বাংলাদেশের ডাক বিভাগের উপর আস্থা থাকলে এই পদ্ধতিটি বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিটা স্কোর পাঠাতে খরচ পড়বে ৫০০ টাকা। পৌঁছাবে কতদিনের ভেতর কেউ জানে না (অনুমান করা হয় এক মাস, যেহেতু রেগুলার সার্ভিস), ট্র্যাক করার সিস্টেম নেই। বিসি আপনাকে সাবধান করে দিবে এই বলে যে, এই সার্ভিসের মাধ্যমে স্কোর পৌঁছানোর কোনো গ্যারান্টি বিসি দিতে পারবে না।

তাই সবার আগে খোঁজ নিন ইলেক্ট্রনিকভাবে পাঠানো সম্ভব কিনা। এরপর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাপারে চিন্তা করুন।

হ্যাপি স্কোর সেন্ডিং!

মন্তব্য

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।