F1 and F2 ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের অভিজ্ঞতা (অ্যাপ্রুভড)
#Mixed_Marriage_Couple_Experience
#I20_deficit
.
আমি আর আমার হাজবেন্ড ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের জন্য দাঁড়িয়েছি ২০১৮ সালের জুলাই মাসের ১৭ তারিখে। ভেবেছিলাম ফল ২০১৮ ধরার জন্য আমরাই শেষ আবেদনকারী। কিন্তু না, দেখলাম আমাদের মত ভুক্তভোগী আরও আছেন। আমাকে ভার্সিটিতে হাজিরা দিতে হবে আগস্টের ১৫ তারিখে, আর ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি জুলাইয়ের ৩ তারিখে। কেন? কারণ ফান্ডিং ডিসিশন পেয়েছি দেরিতে, আই-২০ এসে পৌঁছেছে জুনের ৩০ তারিখে। তাই কারো মনে যদি ভয় থাকে, “আই-২০ আসতে আসতে জুলাই হয়ে যাচ্ছে, আমি কি ফাইরবো ভিসা নিয়ে আগস্টের মাঝে আমেরিকা যেতে?”, তাহলে বলবো ভয় দূর করে প্রয়োজনীয় কাগজপাতি নিয়ে শান্তিতে থাকুন। এভাবেও সম্ভব!
.
VISA for: USA
VISA Status: Approved
I-20 deficit: 9119 USD (লিভিং এক্সপেন্সের জন্য। ভার্সিটি এক বছরে লিভিং এক্সপেন্স ধরেছে ২১০০০ ডলার যা অতিরিক্তের চেয়েও অতিরিক্ত। ফলে I-20-তে ডেফিসিট চলে এসেছে)
Dependent’s expense: 6000 USD
Interview Date: 17 July 2018
Passport Collected: 19 July 2018
Scheduled Time: 7:00 AM
Intended Term: Fall, 2018
Incoming University: Saint Louis University
Program: MS in Medical Dietetics (Clinical Nutrition)
Program Start Date: 27th August
Fund: Full Tuition Waiver + Graduate Assistantship + Health insurance
Experience Before Interview:
Counter No: 10
VO Description: মধ্যবয়স্ক পুরুষ, মাথায় টাক আছে
Interview started: probably at 8.45 AM
Interview Ended: 9.15 AM
.
ইংরেজি আর বাংলা মিলিয়ে লিখছি, যদিও পুরো ইন্টারভিউ ইংরেজিতে হয়েছিল। ইন্টার্ভিউ বেশ লম্বা ছিল। তাই আগেই সতর্ক করে দিচ্ছি আমার লেখার দৈর্ঘ্য সম্পর্কে।
আগে বলে নিই, আমাদের মিশ্র বিবাহ হয়েছে। আমি খ্রিস্টান পরিবার থেকে আর আমার হাজবেন্ড মুসলিম পরিবার থেকে এসেছি। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত ছিলাম, কারণ মিশ্র বিবাহের আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সহজ নয়। অনেক নাকি প্যাঁচায়। আমাদের দুশ্চিন্তা মত ঠিকই প্যাঁচের ভেতর পড়েছিলাম। কিন্তু সেটা এত অদ্ভুত যে, ইন্টার্ভিউ শেষে হতভম্ব ভাব কাটতে সময় লেগেছে।
.
একইসাথে এটা ছিল মজার একটা ইন্টার্ভিউ, আবার ভয়ংকরও। সকাল পৌনে সাতটায় এম্বাসির গেটে পৌঁছে পড়লাম চরম বৃষ্টির মধ্যে। একটা মাত্র ছাতা নিয়ে এসেছিলাম। তাতে দুইজনের কোনোমতে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ভিজে একাকার হয়ে গেছি বেশিরভাগ আবেদনকারী। পুরোদমে স্নান করা যাকে বলে। তবুও যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছি সব ডকুমেন্ট। আমার জ্বর আসলেও সমস্যা নেই, কাগজপাতি যেন নষ্ট না হয়। সব অরিজিনাল কাগজ প্লাস্টিকের ব্যাগে। কোনোটার কিছু হলে যে যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে হবে, তার তুলনায় বৃষ্টিতে ভেজা অনেক আনন্দদায়ক আর রোমান্টিক।
.
যা হোক, আটটার মধ্যে এম্বাসির ভেতর ঢুকতে পারলাম। যাবতীয় ফর্মালিটি শেষ করে যখন অপেক্ষার জন্য রাখা বেঞ্চে এসে বসলাম, তখন খুব সম্ভবত আটটা বিশ বাজে। বিভিন্ন কাউন্টারের দিকে তাকাচ্ছি। কাউন্টার এক, দুই আর তিন পাসপোর্ট চেক করছে; কাউন্টার চার আর পাঁচ ফিঙ্গার প্রিন্ট নিচ্ছে; আর কাউন্টার ছয়, আট, দশে ইন্টার্ভিউ চলছে। খেয়াল করিনি কেমন হারে এপ্রুভাল আর রিজেকশন চলছে। একটা ফ্যামিলিকে দেখলাম ভিসা পেয়েছে, একটা ফ্যামিলি পায়নি। একজন স্টুডেন্ট ভিসা পেয়েছে, আরেকজন পায়নি। আমার হাজবেন্ড বেশ ভয় পাচ্ছিলেন আট নাম্বার কাউন্টারের ব্লন্ড ভিসা অফিসারকে নিয়ে। উনি নাকি ভীষণ কড়া! গ্রুপের কয়েকটা পোস্টে সেরকমই দেখেছেন। আমি নার্ভাস হয়ে বসে আছি। কে কড়া, কে নরম, সেটা মাথায় ঢুকছে না। গত একমাস ধরে কী কী উত্তর সাজিয়েছি, সেগুলোও বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে স্মৃতি থেকে। হাল ছেড়ে দিয়ে ভাবছি, ইনস্ট্যান্ট যা মনে আসে, তাই বলব।
.
আমাদের টার্ন যখন এলো, দেখলাম পাঁচ আর আট নাম্বার কাউন্টারের সামনে অপেক্ষমান মানুষ দাঁড়ানো। ফলে আমাদেরকে যেতে বলা হল দশ নাম্বার কাউন্টারে। আমি প্রথম থেকেই দশ নাম্বার কাউন্টারের ভিসা অফিসারকে পছন্দ করে ফেলেছিলাম। তিনজনের মধ্যে উনাকে আমার সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ লাগছিল। তাই উনার কাউন্টারে আসতে পেরে বুকে একটু বল পেলাম। আমরা যখন হলুদ দাগের পেছনে দাঁড়িয়ে আছি, তখন যিনি দশ নাম্বার কাউন্টারে ইন্টার্ভিউ দিচ্ছিলেন, তিনি একজন ছোটখাট ব্যবসায়ী (পোশাক পরিচ্ছদ ভাল ছিল না, যেটা ইউএস এম্বাসিতে খুব বেশি বেমানান লাগছিল)। ব্যবসায়িক কাজে হয়ত আমেরিকা ভ্রমণে ইচ্ছুক। কিন্তু VO কোনো উত্তর শুনেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। ‘আপনি আগে কোনো দেশ ভ্রমণ করেছেন?’ প্রশ্নের উত্তরে লোকটি বলল, ‘না। তবে আমি ইন্ডিয়ার ভিসা পেয়েছি। কিছুদিনের মাঝে যাব।’ VO-র চেহারা দেখে লোকটা যোগ করল, ‘আমি নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করি। তাই আমেরিকা যেতে চাই।’ VO খুব একটা ইম্প্রেসড হলেন না। যা হোক, ৩/৪ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখলাম লোকটাকে ভদ্রভাবে রিজেকশন দিয়ে দিলেন। আমরা কখন এগোবো, সেটা বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে রইলাম। কয়েক সেকেন্ড পর VO আমাদের দিকে তাকালেন। বিশাল একটা হাসি দিয়ে ইশারায় ডাকলেন। পূর্বোক্ত অ্যাপ্লিক্যান্টের পর আমাদের দেখে হয়ত একটু খুশি হয়েছিলেন, কে জানে! আমরা দুজনও বিশাল হাসি দিয়ে এগিয়ে গেলাম। প্র্যাকটিস করে রাখা ‘হ্যালো, গুড মর্নিং’ সম্বোধনটা উচ্চারণ করার আগেই দেখি VO হাসি মুখে বলছেন, Hi! Good morning.
আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম। আইস ব্রেক হয়ে গেল উনার এক সম্বোধনে। এতদিন যেসব ইন্টার্ভিউ পড়েছি, বেশিরভাগ জায়গায় দেখেছি VO আগ বাড়িয়ে সম্বোধন করেন না। এমনকি অ্যাপ্লিক্যান্টের সম্বোধনের পর উত্তরও দেন না। সেসব পড়ে আমরাও ওভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এমন উলট পুরাণের কারণে খুব আনন্দিত হলাম।
Both: Hi! Good morning.
VO: pass me your passport please.
Me: here it is… বলে এগিয়ে দিলাম আমার এবং হাজবেন্ডের পাসপোর্ট আর আই-২০ (বলা দরকার ছিল ‘here they are’ কিন্তু নার্ভাস ছিলাম বলে সঠিক বাক্য বের হয়নি)
VO: Oh! You are a student. Pass me your I-20 please.
Me: I already passed.
VO আবার তাকালেন পাসপোর্ট দুটোর দিকে। একটার ভেতরে যে আই-২০ ঢুকানো, সেটায় বড় করে F-2 লেখা। দেখে উনি কনফিউজড হয়ে গেলেন। ভাবলেন, আমরা F-2 ভিসার জন্য এসেছি। আরও ভেবে নিলেন যে, আমার হাজবেন্ড F-1, আর আমি F-2। তিনি হাজবেন্ডের দিকে তাকিয়ে বললেন,
VO: so you already got your VISA?
Me: Noooo, he is in F-2 visa (উত্তেজনার চোটে মনে হয় নো-এর টান বেশি দিয়ে ফেলেছিলাম).
VO (হকচকিয়ে): oh, you are the F-1, and he is the F-2?
Both: Yes.
VO (আমার দিকে তাকিয়ে): where is your I-20?
Me (আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে): There it is… besides the F-2 I-20.
VO (F-2 I-20 সরিয়ে দেখলেন যে, আমার পাসপোর্টের ভেতর যে I-20 ঢুকানো, সেটার সাথে ভার্সিটির অফার লেটার যুক্ত করা। এজন্য I-20-র প্রথম পৃষ্ঠাটা দেখা যাচ্ছিল না): oh, it’s with the offer later. I got it! Sorry… hahaha!
Me: I am sorry too; I put the I-20 with the offer letter.
VO: (I-20 দেখতে দেখতে) where are you going?
Me: Saint Louis University.
VO: for which program?
Me: MS in clinical nutrition.
VO: your undergrad institute?
Me: Home Economics College under Dhaka University (নার্ভাসনেসের কারণে ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা বলতে ভুলে গেছি)
VO: your high school?
Me: (আমেরিকার হাই স্কুল আর আমাদের হাই স্কুলের মধ্যে আমার শুধু গোলমাল লেগে যায়। তাই নিরাপদ থাকার জন্য বললাম) my school was Bharateswari Homes, and my college was Holy Cross College.
VO: (VO খুশি হয়ে গেলেন হলি ক্রস কলেজ শুনে) OOO… Holy Cross College! (I-20 দেখতে দেখতে) so you have expenses of x dollar and your assistantship will cover y dollar. Who will pay for the rest?
Me: I will pay for my deficit, I mean I will pay for my portion (আমার ডেফিসিট ৯০০০ ডলার। এটাকে আমার অংশ বলে বুঝাতে চেয়েছি। আর আমার হাজবেন্ডের জন্য যে ৬০০০ ডলার খরচ, সেটা স্পন্সর করবেন আমার মা। তাই আমি ওটার কথা এখানে বলিনি). I have z lac taka in my bank account only for higher educational purposes.
VO: you will pay? Are you doing any job?
Me: yes, currently I’m employed in an Italian clothing company as a Knit Merchandiser.
VO: what is your monthly salary?
Me: answered.
VO: (I-20-এর স্পন্সরের নামের দিকে তাকিয়ে) who is M Rozario? Oh, is she your mother?
Me: yes.
VO: she is going to help you out as well?
Me: yes. She has zx taka in her accounts.
VO: what does she do?
Me: answered.
VO (কনভিন্সড হলেন মায়ের প্রাতিষ্ঠানিক পদ শুনে): what is her monthly income?
Me: answered.
VO: do you have any siblings?
Me: yes, two younger brothers. One is already doing a job and the youngest one has completed his under graduation.
VO: okay! It looks like your mother doesn’t have any others to support.
Me (বিশাল হাসি দিয়ে): yes.
VO: your program duration is?
Me: two years.
VO: okay. But in the I-20, it is three years. Anyway… (কম্পিউটারে কী যেন দেখে) so…. your father passed?
Me (হকচকিয়ে): Nooooo! He is alive!
VO (আমার চেয়ে বেশি হকচকিয়ে): oh! I’m sorry… so so sorry… hahaha (এবার উনি নার্ভাস)!
VO: what does he do?
Me: answered.
VO: what is his monthly income?
Me: answered.
VO (আমার হাজবেন্ডের দিকে তাকিয়ে): what do you do? Do you have any job?
Prince: Yes (answered about his job)
VO: what is your monthly salary?
Prince: answered.
VO: can I see your Nikah Nama?
Me: yes of course! Here it is. One is the original Bengali certificate and one is the notarized English copy (এগিয়ে দিলাম আমাদের সিভিল ম্যারিজ সার্টিফিকেটের আসল কপি, নোটারাইজড কপি, আর চার্চে অনুষ্ঠিত বিয়ের ইংরেজি সার্টিফিকেট).
VO: thanks. I’m not so good with the Bengali certificates… haha!
তারপর উল্টে পাল্টে দেখলেন কাগজগুলো। উনার চেহারা দেখে বুঝতে পারছিলাম, কিছু একটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
VO: this is not a Nikah Nama. This is a civil marriage certificate.
Both: yes.
কয়েক সেকেন্ড পর চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে উনি বললেন, ‘Please give me one minute’ আর সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন।
সেই যে গেলেন, পাঁচ মিনিট যায়, দশ মিনিট যায়, VO আর আসেন না। পনেরো মিনিটও চলে গেল। আমি আর প্রিন্স রিল্যাক্সড থাকার চেষ্টা করছি। হায়! টাকা পয়সা দিয়ে না আটকে এবার কি তবে বিয়ে দিয়ে আটকে দেবে আমাদের? কী এত গবেষণা চলছে ম্যারিজ সার্টিফিকেট নিয়ে?
পনেরো মিনিট পর VO ফিরে এলেন। সাথে এলেন একজন বাঙালি আদিবাসী তরুণ (খুব সম্ভবত দোভাষী এবং অত্যন্ত কিউট)। চেয়ারে বসতে বসতে VO বললেন, ‘okay, let’s get you outta here. I’m sorry that I stood you up for a long time.’
আমরা বিনয়ী হাসি দিয়ে বললামঃ it’s okay! No problem.
এরপর সরাসরি আমাদের চোখের দিকে তাকিয়ে VO বললেন, ‘let me explain. You are from a Christian family and you are from a Muslim family?’
Both: yes.
VO: you did not do Kabin; instead you decided to marry by civil law?
Both: yes.
VO: your marriage took place in a hall or….?
Me: in a church.
VO: in a church?
Prince: yes. Then we celebrated our wedding in a party center.
VO: in a party center… okay. Do you have your wedding photos with you?
Me (প্লাস্টিকের ব্যাগে উঁকি দিতে দিতে): yes.
VO: Can we see them?
Both: yes.
পাঁচটা ছবি নিয়ে গিয়েছিলাম গায়ে হলুদ, চার্চের বিয়ে ইত্যাদি মিলিয়ে।
VO মাইক্রোফোন অফ করে বাঙালি তরুণের সাথে কথা বলতে লাগলেন। আমাদের পাসপোর্ট খুলে স্পাউজের নাম দেখিয়ে কী কী যেন বললেন। ওয়েডিং ফটো থেকে দুটো ছবি দেখে VO আবার আমাদের ম্যারিজ সার্টিফিকেট নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। যাওয়ার আগে ইনডেক্স ফিঙ্গার দিয়ে এক মিনিট ইঙ্গিত করলেন। আমরা “ওকে” বললাম হাসি মুখে। হাসি মুখ ধরে রাখা ছাড়া আসলে কিছু করারও ছিল না।
VO চলে গেলে তরুণটি আমাদের ছবি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো। পাঁচটা ছবিই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। ফেইক কিনা, চেক করছিল বোধহয়।
এবার আর পনেরো মিনিট নয়, পাঁচ মিনিটের মাথায় VO চলে এলেন।
VO: again sorry to keep you waiting, hehe!
আমরা আবারও বিনয়ী হাসি দিয়ে বললামঃ it’s okay! No problem.
VO: so, when you issued your passport, you didn’t need to show the Nikah Nama. You only showed this civil marriage certificate?
Both: yes.
VO (কম্পিউটারে কিছুক্ষণ খুটখাট করার পর আমার দিকে তাকিয়ে): can I see your bank documents?
Me: yes of course! Here it is (আমি বুঝতে পারিনি উনি শুধু আমার ব্যাংক ডকুমেন্ট দেখতে চেয়েছেন। আমি আমার এবং মায়ের তিনটা ডকুমেন্ট এগিয়ে দিয়েছিলাম).
VO (কাগজগুলো নেড়ে চেড়ে): there are several documents. Did you give me altogether?
Me: yes, these are mine and my mothers.
VO (তিনটা কাগজ উঁচু করে ধরে): which one is yours?
Me (আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে): the middle one.
VO এরপর উল্টে পাল্টে দেখলেন আমার স্টেটমেন্ট। কিছুদিন আগে FDR ভেঙ্গে বেশ কিছু বড় অংকের ট্রানজেকশন করেছিলাম। সেগুলো নিয়ে উনি কিছু জিজ্ঞেস করলেন না।
VO (সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে): tell me about your future plan. What you will do?
Me: I will come back to Bangladesh and start up my own nutrition counseling center. It’s a growing business now a days in Bangladesh, and with an US degree, I will be doing better.
VO (মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে): okay. Where do you live?
Me: near Gulshan-2, Kalachandpur.
VO (মাথা নাড়লেন, যেন চিনেছেন কালাচাঁদপুর এলাকাটাকে): okay.
.
তারপর কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কিবোর্ডের উপরে আঙ্গুল রাখলেন। বেশ কিছু মুহূর্ত চিন্তা করলেন কী লিখবেন সেটা নিয়ে। উনার চেহারা দেখে আন্দাজ করছিলাম, ভাল কিছুই লিখতে যাচ্ছেন। কারণ বারবার মাথা উপর নিচ করছিলেন (বাংলাদেশে যা হ্যাঁ বোধক অঙ্গভঙ্গি। হেহে)।
খুটখাট, খুটখাট, খুটখাট…।
আমি কিবোর্ডের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চাচ্ছিলাম, কী লিখছেন। শার্লক হোমসের কথা মনে পড়ল। সে হলে কিবোর্ডের উপর আঙ্গুলের টেপাটেপি দেখে বলে দিতে পারত, ভিসা অফিসার কী লিখছেন।
লেখা শেষ হলে VO আমাদের দিকে তাকালেন। ডানদিকের দেওয়ালে লাগানো তাকের দিকে হাত বাড়ালেন। সময় স্থির হয়ে গেল, মহাকাল থমকে গেল, আমার মাথা অনুভূতিশুন্য হয়ে গেল। সাদা লিফলেট দিক আর নীল – কিছুতেই যেন কিছু যায় আসে না। কিন্তু নাহ!
.
VO নীল লিফলেট হাতে নিলেন আর হেসে বললেন, ‘আপনাদের ভিসা অনুমোদন দেওয়া হল।’ তারপর লিফলেটটা এগিয়ে দিলেন। আমি মুখের কাটা যত বড়, তারচেয়েও চওড়া হাসি দিয়ে বললাম, “Thank you so much!!! You made our day.”
VO হেসে বললেন, “you are welcome. Please collect your passport সাতদিন। I mean এক সপ্তাহ… I mean within সাতদিন।”
VO-সহ সবাই হেসে ফেললাম উনার এমন অবস্থা দেখে। তারপর উনি সমস্ত কাগজপাতি এগিয়ে দিলেন। সেগুলো প্লাস্টিকের স্বচ্ছ ব্যাগে ভরে নিলাম।
শেষে প্রিন্স চওড়া হাসি দিয়ে বলল, “Thank you. Have a nice day!”
VO হেসে বললেন, “Have a nice day too!”
.
প্রোফাইলঃ
Undergrad University: College of Home Economics, Azimpur, Dhaka
Undergrad CGPA: MS 1st class on 2013 (WES CGPA 3.67), BSc 2nd class on 2011 (WES CGPA 3.30)
Undergrad Department: Food & Nutrition
IELTS/TOEFL Score (W, R, S, L): 7.5 (W 7, R 8.5, S 7, L 8)
GRE/GMAT Score (Verbal and Quantitative): 302 (V 147, Q 155, AWA 3)
Publications: None
Job Experience: 7 months as a Nutritionist at a multinational health care center, 5.5 years on Textile sector (Yes, I know the pain of continuing a job in a different sector rather than your desired track)
Research Experience: Undergrad research for 6 months + Post graduate research for 3 months
.
দম্পতি হিসেবে যা নিয়ে গিয়েছিলামঃ
১) সিভিল ম্যারিজ সার্টিফিকেটের বাংলা কপি (আসলটা),
২) সিভিল ম্যারিজ সার্টিফিকেটের ইংরেজি কপি (নোটারি করা)
৩) বিয়ের সার্টিফিকেটের ইংরেজি কপি (আসলটা)
৪) বিয়ের সার্টিফিকেটের নোটারি করা কপি
৫) বিয়ে এবং হলুদের পাঁচটা ছবি (যুগল এবং পরিবারের সাথে)
আমার স্টুডেন্ট ভিসা এবং এফ-২ ভিসার জন্য যা যা নিয়ে গিয়েছিলামঃ
১) আমার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
২) মায়ের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং এফডিআর
৩) আমার অনার্স, মাস্টার্সের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট
৪) দুজনের পাসপোর্ট (ইউএসএতে আপনার থাকার সময়সীমার চেয়েও ছয় মাস বেশি ভ্যালিডিটি থাকতে হবে)
৫) I-20 (F 1, F 2)
৬) ভার্সিটির অফার লেটার
৭) ভার্সিটির কন্ট্রাক্ট লেটার
৮) Unofficial GRE score, official IELTS score,
৯) আমার এবং হাজবেন্ডের ন্যাশনাল আইডি,
ইউএস এম্বাসি এবং ইন্টার্ভিউ কাউন্টারে প্রবেশের জন্য যা নিয়েছিলামঃ
১০) The SEVIS I-901 fee receipt,
১১) MRV fee receipt (Eastern Bank) to show payment of the visa application fee,
১২) One colored photograph 2 X 2 inches square for each candidate, showing a full face, without covering the head, against a light background
১৩) DS-160 Nonimmigrant Visa Confirmation Page
১৪) Visa appointment letter
এফ-২ ভিসায় যারা যান,তারা কি ঐদেশে কাজ করে রোজগার করতে পারবেন?
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
F-2 ভিসায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, তারা বৈধভাবে উপার্জন করতে পারেন না। অর্থাৎ তারা যদি এমন কোনো কাজে নিযুক্ত হন যেখান থেকে কাজের বিনিময়ে টাকা পাবেন, সেটা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু তারা যদি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কোনো সংগঠনের সাথে জড়িত হন, যেখানে কাজের বিনিময়ে টাকা পাবেন না, তাহলে সেটা ঠিক আছে।