icon



আপনার যাত্রা শুরু করুন এখান থেকে, Basic but Must-Know Terms. যারা মাত্র ভাবা শুরু করেছেন, আমেরিকাতে যাওয়া কি আমার পক্ষে সম্ভব, তাদের জন্য এখানে একেবারেই বেসিক কিছু জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টটা পড়লেই আস্তে আস্তে বোঝা আরম্ভ করবেন যে, আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষা যে শুধু সম্ভব তা-ই নয়, নিষ্ঠা থাকলে ব্যাপারটা সহজও বটে।


এরপর চলে আসুন, আমেরিকাতে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে এপ্লাই করতে হলে কি কি লাগবে, সেটার ওপর আরেকটু ডিটেইলস ধারণা পাওয়ার জন্য The Ultimate Check-list for applying.


icon



আপনি যদি science অথবা arts এর কোন সাবজেক্ট থেকে অনার্স করে থাকেন, তাহলে আপনাকে নিতে হবে GRE এর প্রিপারেশন; commerce background হলে নিতে হবে GMAT এর প্রিপারেশন। আর পাশাপাশি (ইংরেজি ভাষাতে দক্ষতা প্রমাণের জন্য) IELTS বা TOEFL এর মধ্যে যে কোন একটা…… কাকে কী পরীক্ষা দিতে হবে, সেটা গ্রাফিক্যালি দেখতে হলে দেখুন এখানে, Which tests to take


আসুন, তাহলে পরীক্ষাগুলো নিয়ে একটু জানি……


GRE or GMAT:

GRE এর “অ আ ক খ” দেখুন All about GRE – এই নোটে। একদম ওপরের মেনুতে দেখুন, GRE এর প্রত্যেকটা সেকশনের জন্য আলাদা আলাদা সেকশন আছে। প্রত্যেকটা সেকশনেই একাধিক প্রবন্ধ আছে। এখানে শুধু প্রাথমিক কিছু প্রবন্ধের নাম দেয়া হলো, যা না পড়লেই নয়। জিআরই এর প্রয়োজনীয় বইগুলোর ব্যাপারে জানুন এখানে, Important books for GRE Prep থেকে। GRE নিয়ে কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে এখানে, FAQ-GRE. যদি আপনার প্রশ্ন এই লিস্টে না থাকে, তাহলে কমেন্ট সেকশনে প্রশ্নটি ছুঁড়ে দিন।


GMAT পরীক্ষার ব্যাপারে জানতে পড়ুন, All about GMAT. যদি আরো প্রশ্ন থাকে, ঘুরে আসুন FAQ-GMAT থেকে।


TOEFL or IELTS:

TOEFL নিয়ে জানতে হলে All about TOEFL. TOEFL নিয়ে আরো কোন প্রশ্ন থাকলে FAQ- TOEFL. IELTS নিয়ে জানতে হলে All About IELTS. আর IELTS নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে FAQ-IELTS. দুটোতেই Reading, Listening, Speaking, Writing সেকশন থাকে। ওপরের মেনুতে সবগুলোর জন্য আলাদা আলাদা লেখা পাবেন।


icon


ইউনিভার্সিটি খুঁজুনঃ

ইতোমধ্যে আপনি GRE and TOEFL এর জন্য প্রিপারেশন শুরু করে দিয়েছেন। তবে পাশাপাশি চালিয়ে যান ভবিষ্যৎ ভার্সিটির জন্য সার্চ, দ্যা খোঁজ……


ইন্টারনেটে সার্চ করলে বিষয়ভিত্তিক ভার্সিটির লিস্ট পাবেন, যেমন – ফার্মেসীর জন্য Pharmacy School Ranking. সেপ্টেম্বর সেশন ধরতে হলে সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে এপ্লাই করে ফেলতে হয়। যারা আরো দেরি করে এপ্লাই করতে চান, তারাLate Deadlines থেকে দেখে নিন কোন কোন স্কুলে এখনো এপ্লাই করার সময় আছে। ভার্সিটি সিলেক্ট করতে হলে কি কি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তার ডিটেইলস পাবেন এই নোটে-University Selection Procedure.


প্রফেসরদের ইমেইল করুনঃ

ভার্সিটি সিলেক্ট করার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আপনার কাংক্ষিত ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের সাথে (অর্থাৎ, আপনার সম্ভাব্য সুপারভাইজারদের সাথে) যোগাযোগ করুন। ইমেইল করার সময় কী কী মাথায় রাখতে হবে সে ব্যাপারগুলো এবং প্রথম ইমেইলের স্যাম্পল দেখুন এখানে, All About emailing faculty members. পড়ুন আরো কিছু টিপস তাদেরকে নক করার ব্যাপারে Tips to knock professors নোটে। তাকে যদি CV পাঠাতে চান, তাহলে CV Format পোস্টে নিজের তথ্য বসিয়ে বানিয়ে নিন নিজের CV.


এপ্লাই করুনঃ

আবার চোখ বুলিয়ে নিন শুরুর দিকে পড়া একটি নোটের ওপর, The Ultimate Check-list for applying. আগেরবার পড়েছিলেন overall ধারণা পাওয়ার জন্য, এবার পড়ুন একটা একটা করে ধরে টিক চিহ্ন দেয়ার জন্য। Application Procedure নিয়ে কোন সওয়াল থাকলে পড়ুন FAQ-Application Procedure.


Online application, SOP, LOR, Resume, Transcript:

ভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে Online Application পূরণ করে ফেলুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই একাউন্টেই মাস্টার্স বা পিএইচডিতে কি নিয়ে কাজ করতে চান, সেটা নিয়ে একটা রচনা (Statement of Purpose-SOP) লিখে জমা দিতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে লিখে প্রিন্ট করে FedEx বা DHL এ করে পাঠাতে হয়। সম্ভাব্য ভার্সিটি অথবা সুপারভাইজার সিলেকশন যেহেতু হয়ে গেছে, সেই রচনাটা লিখে ফেলুন। All About SOP থেকে দেখে নিন step-by-step guide to write one. এখানে আছে আরো একটা স্যাম্পল, Sample SOP. এখানে দেখুন, আরো কিছু টিপস, Tips for SOP. রিকমেন্ডেশন লেটার (LOR) কোন কোন স্যারদের কাছ থেকে নেবেন, সেই স্যারদের কনট্যাক্ট ইনফর্মেশনও অনেক সময় ঐ অনলাইন একাউন্টেই দিতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে FedEx বা DHL এ করে পাঠাতে হয়। এখানে দেখুন LOR Samples. এই একাউন্টে CV-ও আপলোড করতে হয় সাধারণত, এজন্য আপনাকে আগেই অবশ্য Résumé Format দেয়া হয়েছে।


ভার্সিটি সিলেক্ট করতে গিয়ে অনেকে (বিশেষ করে health science এর ছাত্র-ছাত্রীরা) requirement হিসেবে দেখেছেন যে অনার্সের ট্রান্সক্রিপ্ট ওরা ডিরেক্টলি চায়না, evaluated transcript চায়। WES Transcript Evaluation -এ এই ব্যাপারে জানুন বিস্তারিত।


পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দিন আপনার GRE or TOEFL স্কোর। All about GRE or TOEFL পোস্টগুলো পড়ে আপনি জেনে গেছেন, একবার পরীক্ষা দিলে চারটা ভার্সিটিতে স্কোর ফ্রি পাঠানো যায়। এর বেশি ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে চাইলে সেখানে আলাদা করে স্কোর পাঠাতে হবে। Make sure you do that….. স্কোর পাঠাতে, এমনকি রেজিস্ট্রেশন করতে, এপ্লিকেশন ফি দিতে আপনার লাগবে ক্রেডিট কার্ডের সহায়তা। সেটা কিভাবে এরেঞ্জ করবেন, তা দেখুন Credir Card Aid থেকে।


Application fee submit করার মাধ্যমে এই ধাপ শেষ হবে।


icon


অনেক ভার্সিটির জন্য এপ্লাই এর কাজ ওপরেই শেষ হয়ে গেলেও কিছু কিছু ভার্সিটির ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মত শেষ হয়েও কিঞ্চিৎ বাকি থেকে যাবে। আপনার প্রোফাইল ওদের পছন্দ হলে ওরা আপনার ফোন ইন্টারভিউ নিতে পারে। অনেকে এটাকে জেরা হিসেবে দেখে, আমরা দেখি চায়ের টেবিলে ধূমায়িত আড্ডা হিসেবে। কি জাতীয় আলাপ হতে পারে, সে ব্যাপারে ধারণা পাবেন Phone Interview Details থেকে।

সিনেমা গুলোতে মাঝে মাঝে দেখায়, সিনেমার নায়ক বা নায়িকা হঠাৎ একদিন একটা চিঠি পায়, এরপর দৌড়ে এসে মা-কে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘আম্মু, আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে আমাকে এডমিশন দিয়ে দিয়েছে’… এর পরের দৃশ্যেই দেখা যায়, একটা বিমান রানওয়ে থেকে take-off করছে। এই দুইটার মাঝখানে যে এত কাজ আছে, কোন মুভিতে ওগুলি দেখায় না। সেই মাঝখানের কাজগুলোর প্রসেসিং সহজ করে দেয়ার জন্য দুটোপোস্ট আছে আমাদের। প্রথমে এপ্লাই করুন Visa application for USA দেখে। এরপর এম্ব্যাসীতে ভিসার সাক্ষাৎকার এর জন্য দেখুন, Embassy Interview

icon



শপিং তো করে আসতেই হবে। তাড়াহুড়োর মধ্যে জরুরি কিছু বাদ পড়ে গিয়ে বাঁশ খেতে না চাইলে Shopping List থেকে একটা একটা করে জরুরী জিনিসগুলো কিনে নিন।


এরপর প্লেনে উঠে যাবেন, আপনাকে আমেরিকা পৌঁছানোর বাকি কাজ প্লেনের। যদি সাথে করে বিবাহিত সঙ্গীটিকে বা বাচ্চা-কাচ্চাকে নিয়ে আসতে চান, তাহলে ওদের জন্য আপনাকে এরেঞ্জ করতে হবে F2 Visa (আপনার ভিসার টাইপ হচ্ছে F1). এটার জন্য আপনাকে পড়তে হবে All About F2 Visa.


এ পর্যন্ত আপনার যত খরচ হলো, আর সেটা কতদিনের মধ্যে তুলে আনতে পারবেন, সেই অর্থনৈতিক পর্যালোচনা পড়ে ফেলুন, Economics of higher study in USA.


icon



আমেরিকায় যাওয়ার পর আপনার কিছু জরুরি কাজ করতেই হবে। সকল ইউনিভার্সিটিই আপনাকে health insurance নিতে বলবে। সেটা নিয়ে কিছু জরুরি জিনিস জেনে নিন All about student health insurance থেকে। সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বারও নিতে হবে, নইলে রিসার্চ এসিস্ট্যান্টের বেতন পাবেন না। সেটা প্রসেসিং করা একদম সহজ অবশ্য। জরুরি এই প্রসেসটা নিয়ে দেখুন Getting Social Security তে।


আমেরিকায় গিয়ে দেশকে ভুলে যাবেন না প্লিজ। গ্র্যাজুয়েট স্টাডিতে যে জ্ঞান আপনি অর্জন করেছেন, তা দেশের মানুষের কাজে লাগাবেন- এটাই মাথায় রাখবেন।


এই ওয়েবসাইটটি আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীকে হায়ার স্টাডির প্রতি উৎসাহিত করে তোলার জন্য উৎসর্গীকৃত।তাদেরকে আমরা দেখাতে চাই যে, HIGHER STUDY IN USA IS ACHIEVABLE. কোচিং এর মাধ্যমে অথবা কোচিং ছাড়া যারা প্রিপারেশন নিতে চায়, আমরা তাদেরকে সবাইকেই যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি। পরামর্শ বা সাহায্য পাওয়ার জন্য আমাদের ছাত্র হতে হবে, এমন কোন কথা নেই। তাই, আপনাদের যদি মনে হয় আমাদের ওয়েবসাইটের এই রিসোর্স-গুলো কারো না কারো কাজে লাগবে- তাহলে শেয়ার করতে দ্বিধা করবেন না প্লিজ।